বুধবার হোয়াইট হাউজে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি দাবি করেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো আমেরিকান বা ইরাকির প্রাণহানি ঘটেনি। তেমন কোনো ক্ষতিও হয়নি।
এর আগে ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতা কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে তেহরান যদি কোনো আমেরিকান বা মার্কিন সম্পদের ওপর হামলা করে তাহলে ওয়াশিংটন ইরানের ৫২টি স্থানে হামলা করবে বলে হুমকি দিয়েছিল ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা বাদ দেয় এবং সন্ত্রাসের পথ ত্যাগ করে, তাহলে শান্তি স্থাপনে তিনি প্রস্তুত।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের শুরুতে ট্রাম্প বলেন, তিনি যতদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকবেন, ততদিন তিনি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেবেন না।
তিনি আরো বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে তিনি নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দেবেন যা ততদিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে যতদিন 'ইরান তার আচরণ না বদলাবে।' তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
১৯৭৯ সাল থেকে ইরানের অনেক আপত্তিকর কর্মকাণ্ড সহ্য করা হচ্ছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক হয়েছে আর নয়। ইরান একটি মহান দেশ হতে পারে, সে যোগ্যতা তাদের রয়েছে... আমাদের সবার এখন উচিৎ ইরানের সাথে নতুন একটি চুক্তির চেষ্টা করা যাতে করে বিশ্ব নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।’